বরগুনার তালতলী উপজেলায় ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করে ছয় মাস সংসার করার পর এক নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই উদ্যোক্তার দুই স্ত্রী মিলে নববধূকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী জানান, উপজেলার উত্তর ঝাড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা তিনি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে অনলাইনে কাজের জন্য কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে গেলে উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন কৌশলে তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুয়াকাটায় নিয়ে গিয়ে ভুয়া কাবিননামায় বিয়ে করেন এবং শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।
ওই নারী আরও জানান, বিয়ের পর তারা তালতলী বাজারে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় ছয় মাস বসবাস করেন। কিছুদিন আগে বিভিন্ন অজুহাতে মহিউদ্দিন তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার তিনি বাসায় ফিরে আসলে মহিউদ্দিনের দুই স্ত্রী মিলে তাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, মহিউদ্দিন আমার সরলতার সুযোগ নিয়েছে। ভুয়া কাবিন করে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ছয় মাস সংসার করার পর এখন তার দুই স্ত্রী মিলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। আমি এর ন্যায়বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের জীবন শেষ করে দিয়েছে ওই প্রতারক মহিউদ্দিন। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
স্থানীয় কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, উদ্যোক্তা পরিচয়ের আড়ালে মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে সহজ-সরল মেয়েদের সর্বনাশ করে আসছেন। তার দুই স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভুয়া কাবিন করে আরেক নারীকে নিয়ে ছয় মাস সংসার করেছেন তিনি। তারা দ্রুত তার চাকরিচ্যুতি ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে মহিউদ্দিন তালুকদারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে সুমন নামে একজন বলেন, “মহিউদ্দিন বাইরে আছেন, পরে কথা বলবেন।
কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম পনুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন,এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, “অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
সাফাত আল মামুন
প্রকাশক
ইব্রাহিম খলিল
নিউজ
Email: news@prokash.live
বিজ্ঞাপণ
Email: ads@prokash.live
©২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত || প্রকাশ